Skip to main content

Interest-Riba-সূদ

 Interest-Riba-সূদ

সূরাঃ ২/ আল-বাকারা | Al-Baqara | سورة البقرة আয়াতঃ ২৭৫ মাদানী



(২৭৫) যারা সূদ[1] খায়, তারা (কিয়ামতে) সেই ব্যক্তির মত দন্ডায়মান হবে, যাকে শয়তান স্পর্শ দ্বারা পাগল করে দিয়েছে।[2] তা এ জন্য যে, তারা বলে, ‘ব্যবসা তো সূদের মতই।’[3] অথচ আল্লাহ ব্যবসাকে বৈধ ও সূদকে অবৈধ করেছেন। অতএব যার কাছে তার প্রতিপালকের উপদেশ এসেছে, তারপর সে (সূদ খাওয়া থেকে) বিরত হয়েছে, সুতরাং (নিষিদ্ধ হওয়ার পূর্বে) যা অতীত হয়েছে তা তার (জন্য ক্ষমার্হ হবে),[4] আর তার ব্যাপার আল্লাহর এখতিয়ারভুক্ত।[5] কিন্তু যারা পুনরায় (সূদ খেতে) আরম্ভ করবে, তারাই দোযখবাসী; সেখানে তারা চিরকাল থাকবে।

[1] الربا (সূদ) এর আভিধানিক অর্থ হল, বাড়তি এবং বৃদ্ধি। শরীয়তে সূদ দুই প্রকার; ‘রিবাল ফায্ল’ এবং ‘রিবান নাসীয়াহ’। ‘রিবাল ফায্ল’ সেই সূদকে বলা হয় যা ছয়টি জিনিসের বিনিময়কালে কমবেশী অথবা নগদ ও ধারের কারণে হয়ে থাকে। (যার বিশদ বর্ণনা হাদীসে আছে।) যেমন, গমের পরিবর্তন যদি গম দ্বারা করা হয়, তাহলে প্রথমতঃ তা সমান সমান হতে হবে এবং দ্বিতীয়তঃ তা নগদ-নগদ হতে হবে। এতে যদি কমবেশী হয় তাও এবং নগদ নগদ না হয়ে যদি একটি নগদ এবং অপরটি ধারে হয় অথবা দু’টিই যদি ধারে হয় তবুও তা সূদ হবে। আর ‘রিবান নাসীয়াহ’ হল, কাউকে ছয় মাসের জন্য এই শর্তের ভিত্তিতে ১০০ টাকা দেওয়া যে, পরিশোধ করার সময় ১২৫ টাকা দিতে হবে। ছয় মাস পর নেওয়ার কারণে ২৫ টাকা বাড়তি নেওয়া। আলী (রাঃ)-এর এ সম্পর্কিত একটি উক্তিতে এটাকে ঠিক এইভাবে বলা হয়েছে, (كُلُّ قَرْضٍ جَرَّ مَنْفَعَةً فَهُوَ رِبَا) ‘‘যে ঋণ কোন মুনাফা টেনে আনে, তা-ই সূদ।’’ (ফাইযুল ক্বাদীর শারহুল জামেইস্ সাগীর ৫/২৮) এই ধার ব্যক্তিগত প্রয়োজনের জন্য নেওয়া হোক অথবা ব্যবসার জন্য উভয় প্রকার ধারের উপর নেওয়া সূদ হারাম। জাহেলিয়াতের যুগে এই ধারের প্রচলন ছিল। শরীয়ত উভয় প্রকারের ধারের মধ্যে কোন পার্থক্য না করে দু’টোকেই হারাম করে দিয়েছে। সুতরাং যারা বলে, ব্যবসার জন্য যে ঋণ (যা সাধারণতঃ ব্যাংক থেকে) নেওয়া হয়, তাতে যে বাড়তি অর্থ পরিশোধ করতে হয়, তা সূদ নয়। কারণ ঋণগ্রহীতা তা থেকে উপকৃত হয় এবং সে তার (লাভের) কিয়দংশ ব্যাংক অথবা ঋণদাতাকে ফিরিয়ে দেয়। অতএব এতে দোষের কি আছে? এতে কি দোষ আছে তা এমন আধুনিক শিক্ষিত মানুষের নজরে পড়বে না, যারা এটাকে বৈধ সাব্যস্ত করতে চায়। তবে মহান আল্লাহর দৃষ্টিতে তাতে বহু দোষ বিদ্যমান রয়েছে। যেমন, ঋণ নিয়ে ব্যবসা-বাণিজ্যকারীর লাভ যে হবেই তার কোন নিশ্চয়তা নেই। বরং লাভ তো দূরের কথা মূল পুঁজি অবশিষ্ট থাকবে কি না তারও কোন ভরসা নেই। কখনো কখনো ব্যবসায় সমস্ত টাকা-পয়সা ডুবে যায়। পক্ষান্তরে ঋণদাতা (ব্যাংক হোক অথবা সূদের উপর টাকা-পয়সা দেয় এমন যেই হোক না কেন তার) লাভ একেবারে সুনিশ্চিত, তার লভ্যাংশ যে কোন অবস্থায় আদায় করতেই হবে। এটা হল যুলুমের একটি প্রকাশ্য চিত্র। ইসলামী শরীয়ত এটাকে কিভাবে বৈধ সাব্যস্ত করতে পারে? শরীয়ত তো ঈমানদারদেরকে সমাজের অভাবীদের উপর পার্থিব কোন লাভ ও উদ্দেশ্য ছাড়াই ব্যয় করার প্রতি উৎসাহ দান করেছে। যাতে সমাজে ভ্রাতৃত্ব, সহানুভূতি, সহযোগিতা এবং দয়া-দাক্ষিণ্য ও প্রেম-প্রীতির উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়। পক্ষান্তরে সূদী কারবারের ফলে হার্দিক কঠোরতা এবং স্বার্থপরতার সৃষ্টি হয়। একজন পুঁজিপতির কেবল মুনাফাই উদ্দেশ্য হয়; চাহে সমাজে অভাবগ্রস্ত ব্যক্তিরা রোগ, ক্ষুধা ও কপর্দকশূন্যতার জ্বালায় কাতরাতে থাকে এবং বেকার ও কর্মহীনরা নিজেদের জীবন থেকে নিরাশ হয়ে যায়। এই বর্বরতা ও নির্দয়তাকে শরীয়ত কিভাবে পছন্দ করতে পারে? এর আরো অনেক অপকারিতার দিক আছে। এখানে বিস্তারিত আলোচনা সম্ভব নয়। মোট কথা সূদ হারাম; তাতে তা ব্যক্তিগত প্রয়োজনের জন্য নেওয়া ঋণের সূদ হোক অথবা ব্যবসার জন্য নেওয়া ঋণের সূদ।

[2] সূদখোরের এই অবস্থা কবর থেকে উঠার সময় হবে অথবা হাশর প্রান্তরে হবে। (এখান থেকে জ্বিন পাওয়ার কথা প্রমাণ হয়।)

[3] অথচ ব্যবসায় নগদ টাকা এবং কোন জিনিসের মাঝে বিনিময় হয়ে থাকে। তাছাড়া এতে লাভ-নোকসান উভয়েরই সম্ভাবনা থাকে। পক্ষান্তরে সূদে উক্ত দু’টির কোনটাই থাকে না। এ ছাড়া ব্যবসাকে মহান আল্লাহ বৈধ করেছেন এবং সূদকে করেছেন হারাম। সুতরাং এ দু’টো কি করে একই হতে পারে?

[4] অর্থাৎ, ঈমান আনা অথবা তওবা করার পর বিগত সূদের উপর পাকড়াও হবে না।

[5] তিনি তাকে তওবার উপর সুদৃঢ় রাখবেন, অথবা বদ-আমল ও নিয়তের খারাবীর কারণে তাকে পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে দিবেন। এই জন্যই পুনরায় সূদ গ্রহণকারীদের উপর কঠোর ধমক এসেছে।

Source: - তাফসীরে আহসানুল বায়ান

সূরাঃ ২/ আল-বাকারা | Al-Baqara | سورة البقرة আয়াতঃ ২৭৬ মাদানী

২:২৭৬ یَمۡحَقُ اللّٰهُ الرِّبٰوا وَ یُرۡبِی الصَّدَقٰتِ ؕ وَ اللّٰهُ لَا یُحِبُّ کُلَّ کَفَّارٍ اَثِیۡمٍ ﴿۲۷۶﴾

(২৭৬) আল্লাহ সূদকে নিশ্চিহ্ন করেন এবং দানকে বৃদ্ধি দেন।[1] আল্লাহ কোন অকৃতজ্ঞ পাপীকে ভালবাসেন না।

[1] এটা হল সূদের অভ্যন্তরীণ ও আধ্যাত্মিক ক্ষতিসমূহ এবং সাদাকার বরকতসমূহের বিবরণ। সূদ বাহ্যিকভাবে দেখতে বৃদ্ধিশীল লাগলেও অভ্যন্তরীণভাবে অথবা পরিণামের দিক দিয়ে সূদের অর্থ ধ্বংস ও বিনাশেরই হয়। আর এ কথা যে অতি বাস্তব তা ইউরোপের অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরাও স্বীকার করেছেন।

- তাফসীরে আহসানুল বায়ান












আল্লাহ সুদকে মিটিয়ে দেন এবং সদাকাকে বাড়িয়ে দেন। আর আল্লাহ কোন অতি কুফরকারী পাপীকে ভালবাসেন না। আল-বায়ান

আল্লাহ সূদকে বিলুপ্ত করেন এবং খয়রাতকে বৃদ্ধি করেন, আল্লাহ অকৃতজ্ঞ পাপীদেরকে ভালবাসেন না। তাইসিরুল

আল্লাহ সুদকে ক্ষয় করেন এবং দানকে বর্ধিত করেন, বস্তুতঃ আল্লাহ অতি কৃতঘ্ন পাপাচারীদেরকে ভালবাসেননা। মুজিবুর রহমান

Allah destroys interest and gives increase for charities. And Allah does not like every sinning disbeliever. Sahih International

সূরাঃ ২/ আল-বাকারা | Al-Baqara | سورة البقرة আয়াতঃ ২৭ মাদানী

(২৭৭) যারা বিশ্বাস করে এবং সৎকার্য করে, নামায যথাযথভাবে আদায় করে এবং যাকাত প্রদান করে, তাদের পুরস্কার তাদের প্রতিপালকের নিকট আছে। তাদের কোন ভয় নেই এবং তারা দুঃখও পাবে না।

- তাফসীরে আহসানুল বায়ান

সূরাঃ ২/ আল-বাকারা | Al-Baqara | سورة البقرة আয়াতঃ ২৭ মাদানী





























২৭৮) হে বিশ্বাসীগণ! তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং সূদের যা বকেয়া আছে তা বর্জন কর; যদি তোমরা বিশ্বাসী হও।

- তাফসীরে আহসানুল বায়ান

সূরাঃ ২/ আল-বাকারা | Al-Baqara | سورة البقرة আয়াতঃ ২৭৯ মাদানী

(২৭৯) আর যদি তোমরা (সূদ বর্জন) না কর, তাহলে আল্লাহ ও তার রসূলের পক্ষ থেকে যুদ্ধ সুনিশ্চিত জানো।[1] কিন্তু যদি তোমরা তওবা কর, তবে তোমাদের মূলধন তোমাদেরই। তোমরা কারো উপর অত্যাচার করবে না এবং নিজেরাও অত্যাচারিত হবে না। [2]

[1] এটা এমন এক কঠোর ধমক যে, এ রকম ধমক অন্য কোন পাপের উপর আসেনি। এই জন্য আব্দুল্লাহ ইবনে আববাস (রাঃ) বলেছেন, ইসলামী দেশে যে ব্যক্তি সূদ ছাড়তে প্রস্তুত হবে না, দেশের শাসকের দায়িত্ব হবে তাকে তওবা করানো এবং (সূদ খাওয়া থেকে) বিরত না হলে তার শিরচ্ছেদ করা। (ইবনে কাসীর)

[2] যদি তুমি তোমার মূলধন থেকে বেশী নাও, তাহলে এটা তোমার পক্ষ থেকে অত্যাচার হবে। আর যদি তোমাকে তোমার মূলধনও ফিরিয়ে না দেওয়া হয়, তাহলে এটা তোমার উপরে অত্যাচার করা হবে।

- তাফসীরে আহসানুল বায়ান










সূরাঃ ২/ আল-বাকারা | Al-Baqara | سورة البقرة আয়াতঃ ২৮০ মাদানী

(২৮০) যদি (খাতক) অভাবী হয়, তাহলে তাকে সচ্ছল হওয়া পর্যন্ত অবকাশ দাও। আর যদি ঋণ মাফ করে দাও, তাহলে তা তোমাদের জন্য আরও উত্তম;[1] যদি তোমরা উপলব্ধি কর।

[1] ইসলামের পূর্বে জাহেলী যুগে ঋণ পরিশোধ না হলে চক্রবৃদ্ধিহারে সূদের উপর সূদ বাড়তে বাড়তে মূলধনে যোগ হত। ফলে সামান্য অর্থ একটি পাহাড় হয়ে দাঁড়াত এবং তা পরিশোধ করা অসম্ভব হয়ে পড়ত। মহান আল্লাহ এর বিপরীত নির্দেশ দিয়ে বললেন, যদি ঋণগ্রহীতা অভাবগ্রস্ত হয়, তাহলে (সূদ নেওয়া তো দূরের কথা মূলধন নেওয়ার ব্যাপারেও) সচ্ছলতা আসা পর্যন্ত তাকে সময় দাও। আর যদি ঋণ একেবারে মাফ করে দাও, তাহলে তা আরো উত্তম। হাদীসসমূহেও এর বড়ই ফযীলতের কথা বর্ণিত হয়েছে। উভয় নীতির মধ্যে কত ব্যবধান? একটি একেবারে যুলুম, নির্দয়তা এবং স্বার্থপরতার উপর প্রতিষ্ঠিত। আর দ্বিতীয়টি সহানুভূতি, সহযোগিতা এবং একে অপরকে সাহায্য করার নীতি। মুসলিমরা যদি বরকতময় এবং দয়াভরা আল্লাহর এই নীতিকে গ্রহণ না করে, তাহলে তাতে ইসলামের দোষ কি এবং আল্লাহর প্রতি দোষারোপ কেন? হায়! মুসলিমরা যদি তাদের দ্বীনের গুরুত্ব ও উপকারিতার কথা বুঝত এবং সেই অনুযায়ী যদি নিজেদের জীবন পরিচালনা করতে পারত (তাহলে কতই না ভালো হত)!










- তাফসীরে আহসানুল বায়ান






সূরাঃ ২/ আল-বাকারা | Al-Baqara | سورة البقرة আয়াতঃ ২৮১ মাদানী

















(২৮১) আর তোমরা ভয় কর সেই দিনকে, যেদিনে তোমাদেরকে আল্লাহর কাছে ফিরে যেতে হবে। অতঃপর প্রত্যেককে তার কর্মের ফল পূর্ণভাবে প্রদান করা হবে, আর তাদের প্রতি কোনরূপ অন্যায় করা হবে না।[1]

[1] কোন কোন আসারে (সাহাবীর উক্তিতে) এসেছে যে, এটা হল কুরআন কারীমের সর্বশেষ আয়াত। নবী করীম (সাঃ)-এর উপর সবশেষে এই আয়াত নাযিল হওয়ার কিছু দিন পর তিনি ইহলোক ত্যাগ করেন। (ইবনে কাসীর)










- তাফসীরে আহসানুল বায়ান







সূরা আল ইমরান








১৩০) হে বিশ্বাসিগণ! তোমরা ক্রমবর্ধমান হারে (দ্বিগুণ-চতুর্গুণ বা চক্রবৃদ্ধি হারে) সূদ খেয়ো না,[1] এবং আল্লাহকে ভয় কর, তাহলে তোমরা সফলকাম হতে পারবে।

[1] যেহেতু উহুদ যুদ্ধে পরাজয় রসূল (সাঃ)-এর অবাধ্যতা এবং পার্থিব সম্পদের প্রতি লোভের কারণে হয়েছিল, তাই দুনিয়ার লোভনীয় জিনিসের মধ্যে সর্বাধিক মারাত্মক সূদ থেকে নিষেধ এবং আল্লাহর আনুগত্য করার তাকীদ করা হচ্ছে। আর ‘চক্রবৃদ্ধি হারে সূদ’ খেতে নিষেধ করার অর্থ এই নয় যে, যদি চক্রবৃদ্ধি হারে না হয়, তাহলে তা খাওয়া জায়েয। বরং সূদ কম হোক বা বেশী, ব্যক্তিবিশেষের নিকট থেকে হোক অথবা কোম্পানী বা প্রতিষ্ঠানের নিকট থেকে, তা সর্বাবস্থায় হারামই। যেমন পূর্বেও আলোচিত হয়েছে। সূদ হারাম হওয়ার জন্য এটা (চক্রবৃদ্ধি হারে খাওয়া) শর্ত নয়। বরং বাস্তব পরিবেশের দিকে লক্ষ্য করে এইভাবে বলা হয়েছে। অর্থাৎ, সেই সময় সূদ খাওয়ার যে পরিবেশ ও ধরন ছিল, তাই প্রকাশ ও বর্ণনা করা হয়েছে। জাহেলিয়াতে সূদের সাধারণ প্রচলন এই ছিল যে, ঋণ পরিশোধ করার সময় এসে যাওয়ার পর তা পরিশোধ করা সম্ভব না হলে, তার (পরিশোধের) সময় বৃদ্ধি করার সাথে সাথে সূদও বর্ধিত হতে থাকত; ফলে সামান্য অর্থও বাড়তে বাড়তে বহুগুণ হয়ে যেত এবং সাধারণ একজন মানুষের পক্ষে তা আদায় করা অসম্ভব হয়ে পড়ত। মহান আল্লাহ বললেন, আল্লাহকে ভয় কর এবং সেই আগুনকে ভয় কর যা প্রস্তুত করা হয়েছে কাফেরদের জন্য। এ থেকে সতর্ক করাও উদ্দেশ্য। অর্থাৎ, সূদ খাওয়া থেকে বিরত না হলে, এই হারাম কাজ তোমাদেরকে কুফরী পর্যন্ত পৌঁছে দেবে। কারণ, সূদ খাওয়া মানে, আল্লাহ ও তাঁর রসূলের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামা।

- তাফসীরে আহসানুল বায়ান


১৩১) তোমরা সেই আগুনকে ভয় কর, যা অবিশ্বাসীদের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

- তাফসীরে আহসানুল বায়ান


(১৬০) বহু পবিত্র জিনিস যা ইহুদীদের জন্য বৈধ ছিল, তা আমি তাদের জন্য অবৈধ করেছি তাদের সীমালংঘনের জন্য এবং আল্লাহর পথে অনেককে বাধা দেবার জন্য। [1]

[1] অর্থাৎ তাদের অপরাধ ও অপকর্মের কারণে শাস্তি স্বরূপ বহু বৈধ জিনিসকে অবৈধ করে দিয়েছি। (বিস্তারিত বিবরণ সূরা আনআম ১৪৬ আয়াতে আছে।)









- তাফসীরে আহসানুল বায়ান










(১৬১) এবং তাদের  সূদ গ্রহণের জন্য, যদিও তা তাদের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছিল এবং অন্যায়ভাবে লোকের ধন-সম্পদ গ্রাস করার জন্য। আর তাদের মধ্যে যারা অবিশ্বাসী তাদের জন্য আমি মর্মন্তুদ শাস্তি প্রস্তুত করে রেখেছি।

- তাফসীরে আহসানুল বায়ান










(১৬২) কিন্তু তাদের মধ্যে যারা জ্ঞানপক্ক[1] তারা ও বিশ্বাসীগণ তোমার প্রতি যা অবতীর্ণ করা হয়েছে তাতে এবং তোমার পূর্বে যা অবতীর্ণ করা হয়েছে তাতেও বিশ্বাস করে এবং যারা নামায যথাযথভাবে পড়ে,[2] যাকাত প্রদান করে[3] এবং আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাস করে,[4] অচিরে তাদেরকেই আমি মহা পুরস্কার দান করব।

[1] এ থেকে উদ্দেশ্য, আব্দুল্লাহ বিন সালাম (রাঃ) ও অন্যান্য সাহাবাবৃন্দ যাঁরা সবধর্ম বা (ইয়াহুদী ধর্ম) ত্যাগ করে মুসলমান হয়ে গিয়েছিলেন।

[2] এ থেকেও উদ্দেশ্য সেই ঈমানদারগণ, আহলে কিতাবগণের মধ্যে যাঁরা মুসলমান হয়েছিলেন। অথবা মুহাজির ও আনসারগণকে বুঝানো হয়েছে। অর্থাৎ যাঁরা পূর্ণ ইসলামী জ্ঞান ও পূর্ণ ঈমানের অধিকারী তাঁরা ঐ সকল পাপকর্ম থেকে বিরত থাকে, যেগুলিকে আল্লাহ অপছন্দ করেন।

[3] এ থেকে উদ্দেশ্য, মালের যাকাত বা পবিত্রতা অথবা আত্মার পবিত্রতা, অর্থাৎ চরিত্র ও কর্মের পবিত্রতা। কিংবা মাল ও আত্মা উভয়ের যাকাত বা পবিত্রতা উদ্দেশ্য।

[4] অর্থাৎ, যাঁরা এই কথার উপর দৃঢ়-প্রত্যয় রাখে যে, আল্লাহ ছাড়া সত্য কোন মা’বুদ বা উপাস্য নেই এবং মৃত্যুর পর পুনর্জীবন ও কৃতকর্মের পুরস্কার ও শাস্তি আছে।

- তাফসীরে আহসানুল বায়ান


(৬২) আর তাদের অনেককেই তুমি পাপে, সীমালংঘনে ও অবৈধ ভক্ষণে তৎপর দেখবে। তারা যা করে, নিশ্চয় তা নিকৃষ্ট!

- তাফসীরে আহসানুল বায়ান

(৬৩) রাব্বানী (আল্লাহ-ভক্ত)গণ ও পন্ডিতগণ কেন তাদেরকে পাপ-কথা বলতে ও অবৈধ ভক্ষণ করতে নিষেধ করে না? এরা যা করে নিশ্চয় তা নিকৃষ্ট! [1]

[1] এখানে উলামা, মাশায়েখ, আবেদ ও ধর্মভীরু ব্যক্তিদেরকে ভৎর্সনা করা হয়েছে যে, সাধারণ মানুষদের বেশীর ভাগ লোক তোমাদের সামনে পাপাচার, অপকর্ম এবং হারামখোরীতে লিপ্ত; কিন্তু তোমরা তাদেরকে নিষেধ কর না। এই অবস্থায় তোমাদের নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করা খুব বড় অপরাধ। এর দ্বারা পরিষ্কার হয় যে, সৎকাজের আদেশ ও অসৎ কাজে বাধা দান করার কত গুরুত্বপূর্ণ এবং তা পরিত্যাগ করা কত ভয়ানক ও কঠিন শাস্তিযোগ্য। যেমন বহু হাদীসেও এ বিষয়টি বিশদভাবে বর্ণিত হয়েছে।

- তাফসীরে আহসানুল বায়ান


(৩৯) লোকের ধন বৃদ্ধি পাবে এ উদ্দেশ্যে তোমরা যে সূদ দিয়ে থাক, আল্লাহর দৃষ্টিতে তা বৃদ্ধি হয় না;[1] কিন্তু তোমরা আল্লাহর মুখমন্ডল (দর্শন বা সন্তুষ্টি) লাভের জন্য যে যাকাত দিয়ে থাক, তাই বৃদ্ধি পেয়ে থাকে; সুতরাং ওরাই সমৃদ্ধিশালী।[2]

[1] অর্থাৎ, সূদ বাহ্য দৃষ্টিতে বৃদ্ধিপ্রাপ্ত ও প্রচুর মনে হয়, আসলে কিন্তু তা নয়। বরং তার অভিশাপ ইহ-পরকালে ধ্বংসের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। ইবনে আব্বাস এবং আরো অনেক সাহাবা (রাঃ) ও তাবেঈনগণের নিকট এই আয়াতে বর্ণিত ‘রিবা’ শব্দটির অর্থ সূদ নয়; বরং তা হল ঐ সকল উপহার-উপঢৌকন যা কোন গরীব ব্যক্তি ধনী ব্যক্তিকে অথবা কোন প্রজা রাজাকে এবং কোন চাকর তার প্রভুকে এই নিয়তে পেশ করে থাকে যে, এর পরিবর্তে সে তার থেকে বেশি পাবে। দেওয়ার সময় বেশি পাওয়ার উদ্দেশ্য থাকে তাই তাকে ‘রিবা’ (সূদ) বলে ব্যক্ত করা হয়েছে। যদিও এই রকম করাটা বৈধ কর্ম, তবুও আল্লাহর নিকট এর কোন সওয়াব নেই। فَلاَ يَربُوا عِندَ الله (আল্লাহর কাছে তা বৃদ্ধি হয় না) দ্বারা আখেরাতে সওয়াব দেওয়া হবে না বুঝানো হয়েছে। এই ব্যাখ্যায় আয়াতের অর্থ হবেঃ ‘যে উপঢৌকন তোমরা অধিক পাওয়ার আশায় দিয়ে থাক, আল্লাহর নিকট তার কোন সওয়াব নেই।’ (ইবনে কাসীর,আইসারুত তাফাসীর)

[2] যাকাত ও দান-খয়রাতে প্রথমতঃ দাতার ধনে এক প্রকার আধ্যাত্মিক ও নিগূঢ় বৃদ্ধি লাভ হয়, অর্থাৎ অবশিষ্ট ধন-সম্পদে আল্লাহর পক্ষ থেকে বরকত দেওয়া হয়। দ্বিতীয়তঃ কিয়ামতের দিন তার সওয়াব ও নেকী বহুগুণ পাওয়া যাবে। যেমন হাদীসে বর্ণিত হয়েছে, ‘‘হালাল উপার্জন থেকে একটি খেজুর সমতুল্য দান বৃদ্ধি হয়ে উহুদ পর্বত ন্যায় হয়ে যায়।’’ (সহীহ মুসলিম, কিতাবুয যাকাত)

- তাফসীরে আহসানুল বায়ান

عَنْ جَابِرٍ قَالَ لَعَنَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم آكِلَ الرِّبَا وَمُؤْكِلَهُ وَكَاتِبَهُ وَشَاهِدَيْهِ وقَالَ هُمْ سَوَاءٌ.

জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) সুদ গ্রহণকারী, প্রদানকারী ও সূদের দু’সাক্ষীর প্রতি অভিশাপ করেছেন। রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন, অভিশাপে তারা সবাই সমান (মুসলিম, মিশকাত হা/২৮০৭; বাংলা ৬ষ্ঠ খণ্ড, হা/২৬৮৩ ‘ক্রয়-বিক্রয়’ অধ্যায়, ‘সুদ’ অনুচ্ছেদ)।

عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ حَنْظَلَةَ غَسِيْلِ الْمَلاَئِكَةِ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم دِرْهَمُ رِبَا يَأْكُلُهُ الرَّجُلُ وَهُوَيَعْلَمُ أَشَدُّ مِنْ سِتَّةِ وَثَلاَثِيْنَ زِنْيَةً.

আবদুল্লাহ ইবনু হানযালাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, ‘কোন ব্যক্তি জেনে শুনে এক দিরহাম বা একটি মুদ্রা সুদ গ্রহণ করলে ছত্রিশবার যেনা করার চেয়ে কঠিন হবে’ (আহমাদ, হাদীছ ছহীহ, মিশকাত হা/২৮২৫; বাংলা মিশকাত হা/২৭০১)।

عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم الرِّبَا سَبْعُونَ حُوبًا أَيْسَرُهَا أَنْ يَنْكَحَ الرَّجُلُ أُمَّهُ.

আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, ‘সুদের পাপের ৭০টি স্তর রয়েছে। তার মধ্যে সবচেয়ে সাধারণ হচ্ছে মাতাকে বিবাহ করা’ (ইবনু মাজাহ, মিশকাত হা/২৮২৬, হাদীছ ছহীহ)।

চার

عَنِ ابْنِ مَسْعُوْدٍ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم إِنَّ الرِّبَا وَإِنْ كَثُرَ فَإِنَّ عَاقِبَتَهُ تَصِيْرُ إِلَى قَلٍّ.

ইবনু মাস‘ঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, ‘নিশ্চয়ই সুদ এমন বস্তু যার পরিণাম হচ্ছে সংকুচিত হওয়া যদিও তা বৃদ্ধি মনে হয়’ (ইবনু মাজাহ, মিশকাত হা/২৮২৭)।

পাঁচ

সুদ একটি হারাম এবং চরম ঘৃণিত কাজ। যা কোরআন-হাদীস দ্বারা প্রমাণিত।আসুন সুদ ভিত্তিক ব্যাংক-বীমা, সমিতি ও লেনদেন থেকে বিরত থাকি।সুদের বিরুদ্ধে কোরআনের অবস্থান/আয়াতঃ

১) যারা সুদ খায় তাদের অবস্থা হয় ঠিক সেই লোকটির মতো যাকে শয়তান স্পর্শ করে পাগল করে দিয়েছে৷ তাদের এই অবস্থায় উপনীত হবার কারণ হচ্ছে এই যে, তারা বলেঃ “ ব্যবসা তো সুদেরই মতো ৷” অথচ আল্লাহ ব্যবসাকে হালাল করে দিয়েছেন এবং সুদকে করেছেন হারাম ৷ কাজেই যে ব্যক্তির কাছে তার রবের পক্ষ থেকে এই নসীহত পৌছে যায় এবং ভবিষ্যতে সুদখোরী থেকে সে বিরত হয়, সে ক্ষেত্রে যা কিছু সে খেয়েছে তাতো খেয়ে ফেলেছেই এবং এ ব্যাপারটি আল্লাহর কাছে সোপর্দ হয়ে গেছে ৷ আর এই নির্দেশের পরও যে ব্যক্তি আবার এই কাজ করে , সে জাহান্নামের অধিবাসী ৷ সেখানে সে থাকবে চিরকাল ৷(আল বাকারাহ,আয়াতঃ২৭৫)

২) আল্লাহ সুদকে নিশ্চিহ্ন করেন এবং দানকে বর্ধিত ও বিকশিত করেন ৷ আর আল্লাহ অকৃতজ্ঞ দুষ্কৃতকারীকে পছন্দ করেন না ৷(আল বাকারাহ,আয়াতঃ২৭৬)

৩) হে ঈমানদারগণ ! আল্লাহকে ভয় করো এবং লোকদের কাছে তোমাদের যে সুদ বাকি রয়ে গেছে তা ছেড়ে দাও , যদি যথার্থই তোমরা ঈমান এনে থাকো।(আল বাকারাহ,আয়াতঃ২৭৮)

৪) কিন্তু যদি তোমরা এমনটি না করো তাহলে জেনে রাখো, এটা আল্লাহ ও তাঁর রসূলের পক্ষ থেকে তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা ৷ এখনো তাওবা করে নাও ( এবং সুদ ছেড়ে দাও ) তাহলে তোমরা আসল মূলধনের অধিকারী হবে ৷ তোমরা জুলুম করবে না এবং তোমাদের ওপর জুলুম করাও হবে না ৷(আল বাকারাহ,আয়াতঃ২৭৯)

৫) হে ঈমানদারগণ ! চক্রবৃদ্ধি হারে সুদ খাওয়া বন্ধ করো এবং আল্লাহকে ভয় করো, আশা করা যায় তোমরা সফলকাম হবে ৷(আলে ইমরান,আয়াতঃ ১৩০)

৬) সুদ গ্রহণ করার জন্য যা গ্রহণ করতে তাদেরকে নিষেধ করা হয়েছিল এবং অন্যায়ভাবে লোকদের ধন-সম্পদ গ্রাস করার জন্য, আমি এমন অনেক পাক-পবিত্র জিনিস তাদের জন্য হারাম করে দিয়েছি, যা পূর্বে তাদের জন্য হালাল ছিল৷ আর তাদের মধ্য থেকে যারা কাফের তাদের জন্য কঠিন যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি তৈরী করে রেখেছি৷ (আন নেসা,আয়াতঃ ১৬১)

৭) যে সূদ তোমরা দিয়ে থাকো, যাতে মানুষের সম্পদের সাথে মিশে তা বেড়ে যায়, আল্লাহর কাছে তা বাড়ে না ৷  আর যে যাকাত তোমরা আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশ্যে দিয়ে থাকো, তা প্রদানকারী আসলে নিজের সম্পদ বৃদ্ধি করে৷(আর রূম,আয়াতঃ ৩৯)

সুদের বিরুদ্ধে হাদীসঃ

১) হযরত মূসা ইবনে ইসমাঈল (রঃ)……সামুরা ইবনে জুনদুব (রাঃ)থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল (সাঃ) বলেছেন, আজ রাতে আমি স্বপ্ন দেখেছি যে, দু’ব্যক্তি আমার নিকট এসে আমাকে এক পবিত্র ভূমিতে নিয়ে গেল। আমরা চলতে চলতে এক রক্তের নদীর কাছে পৌছলাম। নদীর মাঝখানে এক ব্যক্তি দাঁড়িয়ে আছে এবং আরেক ব্যক্তি নদীর তীরে, তার সামনে পাথর পড়ে রয়েছে। নদীর মাঝখানের লোকটি যখন বের হয়ে আসতে চায়, তখন তীরের লোকটি তার মুখে পাথর খন্ড নিক্ষেপ করে তাকে স্বস্থানে ফিরিয়ে দিচ্ছে। এভাবে সে যতবার বেরিয়ে আসতে চায়,ততবারই তার মুখে পাথর নিক্ষেপ করছে আর সে স্বস্থানে ফিরে যাচ্ছে। আমি জিজ্ঞাসা করলাম, এ কে? সে বলল, যাকে আপনি রক্তের নদীতে দেখছেন, সে হল সূদখোর। (বুখারীঃঅধ্যায়ঃ ক্রয়-বিক্রয়ঃ ১৯৫৫)

২) হযরত  আবু হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল (সাঃ) বলেছেন, তোমরা সাতটি ধ্বংসকারী জিনিস থেকে বিরত থাক। জিজ্ঞেস করা হল,হে আল্লাহর রাসূল (সাঃ), সে গুলো কি কি? তিনি বললেন, আল্লাহর সাথে শরীক করা, যাদু টোনা করা, আল্লাহ নিষিদ্ধ করেছেন এমন প্রাণীকে অকারণে হত্যা করা, এতীমের মাল আত্মসাত করা,সুদ খাওয়া,জিহাদের ময়দান থেকে পালিয়ে যাওয়া এবং সতী সাধ্বী নিষ্কলুষ মুমিন মহিলার উপর ব্যভিচারের মিথ্যা অপবাদ আরোপ করা। (মুসলিম, কিতাবুল ইমানঃ১৭০)

৩) হযরত  আহমদ ইবনে ইউনুস(রঃ)…..আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ)থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল (সাঃ) সূদখোর, সূদ দাতা,এর সাক্ষী এবং সুদের হিসাব/দলীল লেখক—সকল কে অভিশাপ দিয়েছেন। আর তিনি এদের সবাই কে সমান অপরাধী বলেছেন।(আবু দাউদ,অধ্যায়ঃ ক্রয়-বিক্রয়ঃ ৩৩০০)

৪) হযরত  আব্দুল্লাহ ইবনে সাঈদ (রঃ)…..আবু হুরাইরাহ (রাঃ)থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল (সাঃ) বলেছেন, সুদের সত্তরটি স্তর রয়েছে। সবচেয়ে নিম্নটি হল-নিজ মায়ের সাথে ব্যভিচার করা (ইবনে মাজাহ,অধ্যায়ঃ ব্যবসাঃসুদঃ ২২৭৪)

৫) হযরত  আবু হুরাইরাহ (রাঃ)থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল (সাঃ) বলেছেন, মিরাজের রাতে আমি এমন এক গোত্রের পাশ দিয়ে গমন করি,যাদের পেট ছিল ঘরের মত বড়, যার মধ্যে বিভিন্ন রকম সাপ বাহির থেকে দেখা যাচ্ছিল। আমি জিবরাঈলকে জিজ্ঞাসা করলাম, এরা কারা? তিনি বললেন, এরা হল সুদখোর।(ইবনে মাজাহ,অধ্যায়ঃ ব্যবসাঃসুদঃ ২২৭৩)

৬) হযরত  আব্বাস ইবনে জাফর(রঃ)…..ইবনে মাসউদ (রাঃ) সুত্রে রাসূল (সাঃ)থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, যে বেশী সুদ খাবে, পরিনামে তার সম্পদ কম হয়ে যাবে। (ইবনে মাজাহ,অধ্যায়ঃ ব্যবসাঃসুদঃ ২২৭৯)

৭) হযরত  আব্দুল্লাহ ইবনে হানযালাহ(রাঃ)থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল (সাঃ) বলেছেন, জেনেশুনে এক দিরহাম পরিমান সুদ খাওয়া আল্লাহর নিকট ছত্রিশ বার ব্যভিচারের চাইতেও অধিক গুনাহের কাজ। (মুসনাদে আহমদঃ১০৩৩)












Comments

Popular posts from this blog

What precautions should be taken by a banker before advancing

What precautions should be taken by a banker before advancing What precautions should be taken by a banker before advancing the loan or Investment? No doubt the advancing of loan is also risk as well. If the loan is for a longer period then risk will be also greater. So before advancing the loan a banker should keep in view the following precautions : Business Volume: Character : Character of the borrower depends upon honestly, family background, nature of employment, habits and the record of the past. So before advancing loan these things must   be considered. 2. Ability To Repay : Before advancing loan a banker must be satisfied with the sources of the repayment of the funds. 3. Check The Assets : The banker should also check the property capital and borrower. This property can kept as a security of loan. In other words if the businessman financial condition is sound then it can be lended otherwise not. 4. Purpose Of Financing :- Funds should be provid...

AUTOMATION

কম্পিউটার হার্ডওয়্যার কি ? হার্ডওয়্যার কত প্রকার ও কি কি ?  AUTOMATION   Software হচ্ছে কম্পিউটারের প্রোগ্রাম । এই কম্পিউটারের হার্ডওয়ার কে কাজে লাগিয়ে সফটওয়্যার প্রোগ্রামগুলো কম্পিউটারে চলে । আপনাদেরকে একটি উদাহরন দিয়ে এ বিষয়টি আরো ভালো করে বুঝিয়ে দিই । আমরা কিন্তু আগে জানলাম হার্ডওয়ারের অংশগুলি কি কি আপনি কি কিবোর্ড ছড়া টাইপিং করতে পারবেন ? আপনি কি মাউস ছাড়া কম্পিউটারের যেকোন জায়গায় ক্লিক করতে পারবেন ? না পারবেন না ।   তো আজকের আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করব হার্ডওয়ার কাকে বলে (hardware kake bole) | হার্ডওয়্যার এর কাজ কি   ? কম্পিউটার হার্ডওয়্যার কত প্রকার ও কি কি ইত্যাদি বিষয় ।   কম্পিউটার হার্ডওয়্যার কি (what is computer hardware in Bengali)   কম্পিউটারের যে ভৌত অংশগুলো আমরা দেখতে পাই এবং স্পর্শ করতে পারি তাকে হার্ডওয়্যার বলে । hardware কম্পিউটার একটি ভৌত উপাদান এবং এই উপাদানটি Circuit board, ICs এবং অন্যান্য ইলেকট্রনিক...

Theory and Practice of Banking

 Theory and Practice of Banking Theory and Practice of Banking-Islamic and conventional What is the banking system in Bangladesh? Now, banks in Bangladesh are primarily of two types: Scheduled Banks: The banks that remain in the list of banks maintained under the Bangladesh Bank Order, 1972. Non-Scheduled Banks: The banks which are established for special and definite objective and operate under any act but are not Scheduled Banks. What is the concept of banking? Banking is defined as the business activity of accepting and safeguarding money owned by other individuals and entities, and then lending out this money in order to conduct economic activities such as making profit or simply covering operating expenses. ... Above all, central banks are responsible for currency stability. What is the role of banks in the financial system? Banks perform various roles in the economy. First, they ameliorate the information problems between investors and borrowers by monitoring th...